রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
সঞ্জয় ব্যানার্জী, দশমিনা (পটুয়াখালী)।।
পটুয়াখালীর দশমিনায় মাচা পদ্ধতিতে লাউ চাষ করে লাভবান হওয়ায় এখন লাউ চাষে ঝুঁকে পড়েছেন কৃষকেরা। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে অনেক ফসলের মত লাউও এখন বারোমাস উৎপাদন হচ্ছে। খরচ কম, সহজ পদ্ধতি এবং গাছের গুনগত মান ভালো থাকায় বেশি ফলন পেয়ে চাষিদের কাছে মাচা পদ্ধতিতে লাউ চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ক্ষেত থেকেই লাউ কিনতে প্রতিদিনই পাইকারী এবং খুচরা ক্রেতারা ভীড় করায় ভোগান্তি পোহাতে হাচ্ছে না চাষিদের।
স্থানীয় কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতা ও পরামর্শে উন্নত জাতের বীজ থেকে অধিক উৎপাদনশীল লাউ পাওয়া যাচ্ছে। ১টি লাউ গাছ থেকে প্রতিদিনই গড়ে ১২ থেকে ১৪ পিচ লাউ পান চাষীরা। তাই প্রতিদিনই তারা লাউ বিক্রি করতে পারেন। উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের গছানী গ্রামের লাউ চাষী কাজী অনিচ ও বহরমপুর ইউনিয়নের লাউ চাষী সুলতান সরদার মাসুদ রানা জানান, আয়ের আশায় প্রতিবেশি কৃষকের মাচা পদ্ধতিতে লাউ চাষ করে লাভবান হওয়া দেখে আমরাও এ পদ্ধতিতে লাউ চাষ শুরু করেছি। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া উপেক্ষা করে নিবিড় পরিচর্যার মাধ্যমে গাছগুলোর গুণগতমান ঠিক রাখায় প্রতিটি গাছের ডগায় ডগায় প্রচুর পরিমাণে ছোট ছোট লাউ ধরেছে। আরেক কৃষক কাজী সরোয়ার জানান, আমি মূলত ব্যবসা করি। বাড়ির পাশে নানান জাতের সবজি চাষের পাশাপাশি মাচা পদ্ধতিতে উন্নতমানের বীজ দিয়ে লাউ চাষ করি। প্রায় পাঁচ মাস বয়সের মধ্যে ছোট বড় ও মাঝারি মিলে ১টি গাছ থেকে প্রায় এক হাজার পিস লাউ বিক্রি করেছি। শুরুতে বাজার মূল্য ভালো পেলেও শেষ মহুর্তে আশানূরুপ দর পাইনি। ফলে যে পরিমাণ লাভের আশা করছিলাম তার চেয়ে কিছুটা কম লাভ হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাফর অহাম্মেদ জানান, মাচা পদ্ধতিতে লাউ চাষ লাভজনক হওয়ায় লাউ চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আমরা সরাসরি চাষিদেরকে আগ্রহী করে তোলার লক্ষে সর্বদা পরামর্শসহ উন্নত জাতের বীজ দিয়ে সহযোগিতা করছি। এই পদ্ধতিতে লাউ চাষে রোগবালাই অনেক কম ও ফলন বেশি হওয়ায় চাষিরা লাভবান হচ্ছেন। এ পদ্ধতিতে প্রায় বারো মাসই লাউ চাষ করা যায় এবং ফল পাওয়া যায়।